হিসাবে দাঁতভাঙা কমিউনিটি সেন্টারে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি উপজেলা কার্যালয়ে রয়েছেন। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে জাকির হোসেন এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ সময়ে তিনি কর্মস্থলে হাজির হননি। স্বামীর এমপিত্বের প্রভাব খাটিয়ে হাজিরা খাতা আপডেট রেখে প্রতিমাসের বেতন উত্তোলন করেছেন তিনি। তার নামে রয়েছে লন্ডন, ঢাকা, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও রৌমারীতে একাধিক বাড়ি। রয়েছে অঢেল অর্থ-সম্পদ ও বিলাসবহুল একাধিক গাড়ি।
জাকির হোসেনের চাচাত ভাই মোস্তাফিজুর রহমান রবিন ছিলেন এলাকার স্বঘোষিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। উপজেলার সব বিষয়ে হস্তক্ষেপ ছিল তার। সে সময় বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, ভিজিএফ, ভিজিডি, টিআর, কাবিখা, কাবিটা, যত্ন প্রকল্প, কার্ডের নাম, রাজস্ব উন্নয়ন, ঠিকাদারিতে সিন্ডিকেট, এডিপিসহ যাবতীয় প্রকল্পের ভাগবাটোয়ারা করতেন। প্রভাব খাটিয়ে করতেন ঠিকাদারি ব্যবসাও। এতে বাড়ি, গাড়ি ও অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি। বর্তমানে উপজেলা মডেল মসজিদ ও কয়েকটি ব্রিজের কাজ অসমাপ্ত রেখেই লাপাত্তা হয়েছেন তিনি। রবিনের ছোট ভাই রাশেদুল ইসলাম রাশেদ ছিলেন প্রতিমন্ত্রীর এপিএস।
একটি বেসরকারি ব্যাংকের ফিল্ড অফিসার হিসাবে কাজ করতেন। পরে জাকির হোসেন এমপি থেকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর রাশেদকে এপিএস হিসাবে নিয়োগ দেন। এর পর থেকে প্রতিমন্ত্রীর দোহাই দিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে অনুদান বরাদ্দ নিয়ে কাজ না করেই কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। প্রাইমারি সেক্টরে সব বদলি-বাণিজ্য তিনি পরিচালনা করেন।
ঢাকার মিরপুরে তার রয়েছে দুটি ফ্ল্যাট, কোটি টাকার ব্যবসা ও ঠিদাকারি প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে ব্রিজের কাজ না করেই লাপাত্তা রয়েছেন তিনি। রবিনের আরেক ভাই মোয়াজ্জেম হোসেন মাসুম, প্রতিমন্ত্রীর আরেক চাচাত ভাই আকতার আহসান বাবু ও মশিউর ওরফে ফশিউরও হয়েছেন অঢেল সম্পদের মালিক। প্রতিমন্ত্রী জাকির ধরা খাওয়ার পর তিনিও পালিয়ে রয়েছেন। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর প্রতিমন্ত্রীর গোটা পরিবার ও তার অনুসারীরাও গা-ঢাকা দিয়েছেন। একাধিকবার তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তাদের ব্যবহৃত মুঠোফোন বন্ধ থাকায় সম্ভব হয়নি।