Breaking News

উদ্ধার করা হচ্ছে একের পর এক মরদেহ, এখন পর্যন্ত ৪০ জন

যুক্তরাষ্ট্রে মাঝ-আকাশে সংঘর্ষের পর বিধ্বস্ত হওয়া বিমান ও সেনা হেলিকপ্টারের কেউ বেঁচে নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দুই উড়োযানের ব্ল্যাকবক্স পেয়েছে উদ্ধারকারী দল।

ওয়াশিংটন ডিসির মাঝ-আকাশে সংঘর্ষের পর নদীতে বিধ্বস্ত হয় যাত্রীবাহী বিমান ও সামরিক হেলিকপ্টার। স্থানীয় সময় বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে দুর্ঘটনা হওয়ায় বৈরি আবহাওয়ার কারণে অভিযান চালাতে বেশ বেগ পেতে হয় উদ্ধারকর্মীদের। এ পর্যন্ত কাউকেই জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে আরোহীরা কেউ বেঁচে নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। উদ্ধার করা হচ্ছে একের পর এক মরদেহ। নিখোঁজদের মরদেহ শিগগিরই উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে জানান ওয়াশিংটন ডিসির ফায়ার ও ইমার্জেন্সি মেডিকেল সার্ভিসের প্রধান।

নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, দুর্ঘটনাটি প্রতিরোধযোগ্য ছিল। এসময় কেন্দ্রীয় এভিয়েশন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে ক্রিস রচেলিউর নাম ঘোষণা করেন তিনি।

ট্রাম্প আরও বলেন, শিগগরিই যাত্রীদের নামের তালিকা এবং কোন কোন দেশের নাগরিক আমেরিকান এয়ারলাইনসের বিমানে ছিলেন তা প্রকাশ করা হবে।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ভিডিও বার্তায় বলেন, বিমানের সঙ্গে সংঘর্ষ হওয়া সেনা হেলিকপ্টার ক্রু অভিজ্ঞ ছিলেন এবং এই ফ্লাইটটি ছিল একটি বার্ষিক দক্ষতা প্রশিক্ষণ ফ্লাইট। যেখানে তারা নাইট ভিশন চশমা ব্যবহার করেছিলেন।

তবে আমেরিকান এয়ারলাইনসের সিইও বলেন, সেনা হেলিকপ্টারটি বিমানের পথে কেন চলে এসেছিল তা জানা যায়নি।

ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, রোনাল্ড রিগ্যান বিমানবন্দরে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুমে লোকবল কম থাকায় বিপত্তি দেখা দেয়। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, এয়ারপোর্টের টাওয়ারে বছরের পর বছর কর্মী সংকট দেখা যাচ্ছে। সেপ্টেম্বর ২০২৩ অনুযায়ী, সেখানে মোট ১৯ জন পুরোপুরি সার্টিফাইড কন্ট্রোলার ছিলেন। কর্মী ঘাটতির কারণে অনেক কন্ট্রোলার সপ্তাহে ছয় দিন এবং দিনে ১০ ঘণ্টা কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *