Breaking News

আব্বা মারা যায়তাম তাড়াতাড়ি ট্যায়া দাও’, ভিডিও সম্পর্কে যা জানা গেল


ছোট একটি শিশুর শরীরের গলা থেকে নিচের অংশ মাটির গর্তে পুঁতে রাখা। চোখে-মুখে ভয় নিয়ে বলছে ‘আব্বা মারা যায়তাম তাড়াতাড়ি ট্যায়া দাও’। বুধবার এমনই একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি নিয়ে দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ওই শিশু ও ভিডিও সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে। গত ৮ জানুয়ারি শিশুটি নিখোঁজ হয়।

জানা গেছে, ১৫ সেকেন্ডের ভিডিওর শিশুটি কক্সবাজারের উখিয়ার থাইংখালী-১৯ নম্বর রোহিঙ্গা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ‘সি ১৫’ ব্লকের বাসিন্দা আবদুর রহমান ও আনোয়ারা বেগমের ছেলে মোহাম্মদ আরাকান (৬)। গত ৮ জানুয়ারি আরাকান ক্যাম্পের খেলার মাঠ থেকে নিখোঁজ হয়। এরপর ১০ জানুয়ারি তার মা-বাবা এই ভিডিওবার্তা পান। নিখোঁজ আরাকানের সন্ধানে এর আগেই তার মা-বাবা থানায় জিডি করেছিলেন। ভিডিও বার্তা পাওয়ার পর তারা নিশ্চিত হন, তাদের ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে।

শিশুটির বাবা আবদুর রহমান বলেন, ‘গত ৮ জানুয়ারি বেলা ২টার দিকে এপিবিএন অফিসসংলগ্ন খেলার মাঠে খেলতে গিয়ে আর ফেরেনি আরাকান। দুই দিন ধরে আরাকানের সন্ধানে তারা বিভিন্ন ক্যাম্পে ঘুরেছেন। পুলিশের কাছেও গেছেন। এপিবিএনের কাছে সাহায্য চেয়েছেন। এরপর ১০ জানুয়ারি দুটি মোবাইল (০১৭৬-৬৫৭৫৪৬৬ ও ০১৮৯৮–৮২১৪২৯) নম্বর থেকে কল দিয়ে বলা হয়, তার ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। ছাড়িয়ে নিতে হলে সাত লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। টাকা না পেলে ছেলেকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে।

তিনি বলেন, ‘অপহরণকারীরা দাবি করা টাকার জন্য ছেলেকে মাটিতে পুঁতে রেখে ভিডিও করে। আমার স্ত্রীর কানের দুল বিক্রি করে প্রথমে ৫০ হাজার টাকা পাঠাই। এরপরও তাকে না ছাড়ায় ক্যাম্পের আত্মীয়স্বজনসহ অন্যান্য লোকদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা পাঠাই। গত ১৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে এমএসএফ হাসপাতালের সামনে আরাকানকে ফেলে যায় তারা।’

এ বিষয়ে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আরিফ হোসেন বলেন, ‘শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল। পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *