পাকিস্তানের ক্রিকেটে অবসর ঘোষণার পর সেটি ভেঙে আবার ফিরে আসার কারণে তো শহীদ আফ্রিদি বিখ্যাতই হয়ে আছেন। পাকিস্তানের ২২ বছর বয়সী পেসার ইহসানউল্লাহ শুধু দুটি মিলিয়ে দিলেন আর কী! অবসরের ঘোষণা দিয়ে ফিরে এলেন, সেটাও ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই।
তবে তাঁর অবসর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নয়, পাকিস্তানের ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট পিএসএল থেকে। একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট থেকে ঘটা করে অবসরের ঘোষণা দেওয়ার কী আছে, তার বদলে নিতান্তই খেলতে না চাইলে ড্রাফটে নাম না দিলেই ঝামেলা চুকে যায় কি না–এ বিতর্ক হতেই পারে। তবে আপাতত ইহসানউল্লাহ সফলভাবে সংবাদের শিরোনামে এসেছেন, পিএসএলকেও নিয়ে এসেছেন। তা যতটা গতকাল অবসরের ঘোষণা দিয়ে, তার চেয়ে বেশি করে আজ আবার অবসরের সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নিয়ে।
Ads by Pubfuture
১৫০ কিলোমিটারের আশপাশে গতিতে বল করতে পারা পেসারের অবসরের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার কারণ কী? জানালেন, গতকাল আবেগে বিদায়ের কথা বলে ফেলেছিলেন!
এবারের পিএসএলের দশম আসরের ড্রাফটে কোনো দল নেয়নি ইহসানউল্লাহকে। কারণ, চোটের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা লড়াইয়ে এখনো জিতে উঠতে পারেননি ডানহাতি এই পেসার। দল না পাওয়ার পরই অবসরের ঘোষণা দিয়ে দেন, ‘আমার অতীত পারফরম্যান্সের পরও আমাকে উপেক্ষা করা হয়েছে। আমি পিএসএল থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি আর ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলতে চাই না। আজকের পর এটি আমার জন্য শেষ। আমাকে আর পিএসএলে দেখবেন না।’
এর ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই আজ আবার পাল্টা ঘোষণা দিয়েছেন ইহসানউল্লাহ। পাকিস্তানের ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকেট পাকিস্তান তাঁর বক্তব্য প্রচার করেছে, ‘ব্যাপারটা হচ্ছে…ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো আমাকে নেয়নি, আমার পরিবার ও বন্ধুরাসহ আমি খুব হতাশ হয়ে পড়ি। সে কারণে আবেগে কথাটা বলে ফেলেছি।’
এপ্রিলে পিএসএল শুরুর আগে কোনো উপায়ে সুযোগ পেয়ে যাওয়ার আশায়ও আছেন তিনি, ‘এমন সিদ্ধান্ত আমি আর নেব না। কঠোর পরিশ্রম করব। এখনো তো পিএসএলের চার মাস বাকি আছে। আল্লাহর ইচ্ছা থাকলে, যাঁরা আমাকে এখন নেয়নি, তাঁরা হয়তো পরে আমাকে দলে নেবে। তাই আমার অবসরের কোনো পরিকল্পনা নেই। আমার কথাগুলো পুরোটাই আবেগের বশে বলে ফেলেছিলাম।’
এভাবে হুট করে ঘোষণা দেওয়ার জন্য সবার কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন, ‘গত রাতে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম সেটা ভুল ছিল। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর কাছে সে কারণে আমি ক্ষমা চাইছি। রাগের বশে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত হয়নি আমার।’
পিএসএলের অষ্টম আসরে ১৫.৭৭ গড়ে ২২ উইকেট নেওয়ার পথে ১৫০ কিলোমিটারের আশপাশে গতিতে নিয়মিত বোলিং করে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন ইহসানউল্লাহ। যদিও মাঝে হাতের চোটের পর তাঁর বলের গতি এখন অনেক কমে এসেছে।