কখন হবে নির্বাচন? এবার সুনির্দিষ্টভাবে সময়সীমা জানালেন প্রেস সচিব

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হতে পারে সেই আভাস ইতোমধ্যে দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এবার তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সুনির্দিষ্টভাবে সময়সীমা উল্লেখ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসম্বের) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক ইস্যুতে সাংবাদিকদের ব্রিফ করতে গিয়ে তিনি এই কথা বলেন।

প্রেস সচিব বলেন, সংস্কার ও নির্বাচন আয়োজন নিয়ে সরকার কাজ করছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে।

প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের পর কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি উঠেছে। এ প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, ভোট নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা যে ঘোষণা দিয়েছেন, তারচেয়ে স্পষ্ট রোডম্যাপ আর কী হতে পারে?

এর আগে গতকাল মহান বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, ২০২৫ সালের শেষ কিংবা ২০১৬ সালের শুরুতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ সকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ কে এম নাসির উদ্দীন। তিনি বলেন, সরকার চাইলে যেকোনো সময় নির্বাচন আয়োজনে প্রস্তুত কমিশন। প্রধান উপদেষ্টা একটা সময়সীমাতো ঘোষণা করেছেন। সেই অনুযায়ী আমরা এগোবো। তবে কাজ করার জন্য আমাদের নিজস্ব একটি কর্মপরিকল্পনা আছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেন শফিকুল আলম। তিনি জানান, জুলাই আন্দোলনে হত্যাযজ্ঞ চালানো কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সবাইকে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করতে সরকার বদ্ধপরিকর।

প্রেস সচিব জানান, শিক্ষা খাতে গত ১৫ বছরে বাজেট না বাড়িয়ে অপ্রয়োজনীয় খাতে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে উচ্চশিক্ষায়। শিক্ষার মানোন্নয়নে কমিশন গঠনসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *