রাজধানীর হাজারীবাগের ঝাউচর এলাকা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে মো. নূর ইসলাম পারভেজ নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার(ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার নূর ইসলাম আওয়ামী লীগের হয়ে অস্ত্রধারী হেলমেট বাহিনীর সক্রিয় সদস্য ও হাজারীবাগের কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণকারী। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ১২ বছরের শিশু আব্দুল মোতালেব মুন্না হত্যা মামলার আসামি তিনি।
হাজারীবাগ থানা পুলিশের বরাতে মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, রোববার (৩ নভেম্বর) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্রজনতা ঝাউচর এলাকায় নূর ইসলামকে দেখে চিনতে পারে। তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে কোনো তথ্য না দিয়ে উল্টো বলে ‘আন্দোলনে গুলি করেছি তাতে কি হয়েছে’।
তখন উপস্থিত ছাত্র-জনতা পুলিশকে খবর দিলে হাজারীবাগ থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে উত্তেজিত জনতার রোষানল থেকে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ভোর ৫টার দিকে থানায় নিয়ে আসে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ১২ বছরের শিশু আব্দুল মোতালেব মুন্না হত্যা মামলায় নূর ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
হাজারীবাগ থানাসূত্রে আরও জানা যায়, গত ৪ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৫টায় জিগাতলার ওয়ালটন শো-রুমের সামনে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা কোটা সংস্কারের জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলেন। সেই আন্দোলনে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের ছোড়া গুলিতে ১২ বছরের শিশু আব্দুল মোতালেব মুন্না মারা যায়।
এ ঘটনায় গত ৩০ আগস্ট মুন্নার প্রতিবেশী শেখ মুহা. মাসুম বিল্লাহ হাজারীবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তার নূর ইসলাম গত ৪ আগস্ট জিগাতলার ওয়ালটন শো রুমের সামনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হেলমেট পরিহিত অবস্থায় ছাত্রজনতার ওপর অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। হেলমেট পরে ছাত্রজনতার ওপর হামলা চালানো এবং ৫ আগস্ট মোহাম্মদপুর থানার অস্ত্র লুটের ঘটনায় নূর ইসলামের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
এ ছাড়া, গ্রেপ্তার নূর ইসলাম হাজারীবাগের ঝাউচর এলাকার কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণকারী। এই কিশোর গ্যাং দীর্ঘদিন ধরে হাজারীবাগের ঝাউচর এলাকায় মা’দক, মারামারি, চুরি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত। ১২ বছরের শিশু আব্দুল মোতালেব মুন্না হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার নূর ইসলামকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান ডিসি তালেবুর রহমান।