বাংলাদেশ-সৌদিতে যে কারণে একই দিনে হতে পারে ঈদ!

স্বাভাবিকভাবে প্রতি বছর সৌদি আরবের পরের দিন বাংলাদেশে ঈদ উদ্যাপন করা হয়। তবে এবার ঘটতে পারে ব্যতিক্রম। এবার সৌদিসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশে একইদিনে পবিত্র ঈদুল ফিতর পালনের সম্ভাবনা রয়েছে।

বিষয়টি জানিয়েছে বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা বাংলাদেশ আবহাওয়া অবজার্ভেশন টিম (বিডাব্লিউওটি)।

সংস্থাটি জানিয়েছে, আগামী ৩০ মার্চ রোববার ঢাকায় সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে। জ্যোতির্বিজ্ঞান তথ্য অনুযায়ী- চাঁদ তখন দিগন্তের ওপরে থাকবে এবং এটি সন্ধ্যা ৭টা ১৭ মিনিটে (অর্থাৎ সূর্যাস্তের ১ ঘণ্টা ৪ মিনিট পরে) পশ্চিম আকাশে অস্ত যাবে।

চাঁদের উচ্চতা সূর্যাস্তের পর পর্যাপ্ত হলে খালি চোখে দেখা সম্ভব হয়। ঢাকায় ৩০ মার্চ চাঁদের বয়স হবে প্রায় ২৬ ঘণ্টা, যা সাধারণত খালি চোখে দেখার জন্য যথেষ্ট। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, ওইদিন আকাশ পরিষ্কার থাকার সম্ভাবনা বেশি, তাই চাঁদ দেখা নিয়ে বিশেষ কোনো সমস্যা হবে না।

সংস্থাটি আরও জানায়, ৩০ মার্চ সন্ধ্যায় চাঁদ শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই দেখা যাবে। পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপগুলোর (যেমন- ফিজি, সামোয়া) সময় অঞ্চল অনুযায়ী সেখানে চাঁদ ২৯ মার্চ সন্ধ্যায় দেখা যাবে। তবে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, আফ্রিকা এবং আমেরিকার বিভিন্ন অঞ্চলে ৩০ মার্চ সন্ধ্যায় নতুন চাঁদ দেখা যাবে। ফলে, প্রায় সারাবিশ্বে একই তারিখে ঈদুল ফিতর উদযাপনের সম্ভাবনা রয়েছে।

সাধারণত সাউথ এশিয়ার দেশগুলো (বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান) মধ্যপ্রাচ্যের একদিন পর ঈদ পালন করে। কারণ এখানে চাঁদ দেখার সময় বেশকিছুটা পিছিয়ে থাকে। তবে এবার চাঁদের অবস্থান অনুকূল হওয়ায় বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশের দেশগুলোরও মধ্যপ্রাচ্যের সাথে একদিনে ঈদ উদযাপনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এটি একটি বিরল ঘটনা হতে পারে, কারণ সাধারণত একদিনের ব্যবধান থেকে যায়।

এবারের ঈদের চাঁদ নিয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞান বিশ্লেষণ ও আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী বলা যায়, চাঁদ খালি চোখে স্পষ্ট দেখা যাবে পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই এবং সারাবিশ্বে একই তারিখে ঈদ উদযাপনের সম্ভাবনা অনেক বেশি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *