বিকেএসপিতে খেলার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটার তামিম ইকবাল। সঙ্গে সঙ্গে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। এরইমধ্যে তার এনজিওগ্রাম করে হার্টে রিং পরানোও হয়ে গেছে।
তাকে হাসপাতালে নেয়া অ্যাম্বুলেন্স চালক গোলাম রব্বানীর সাথে কথা হয় যমুনা টিভির। তিনি জানান, মাঠে শুরুতে অসুস্থ হয়ে পড়লে সাথে সাথে ঢাকা থেকে উড়িয়ে নেয়া হেলিকপ্টার। কিন্তু প্রথমে তাকে নেয়া হয় পাশেরই আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত একটি হাসপাতালে।
রব্বানী বলেন, বুকে ব্যথা অনুভব করলে তামিমকে হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। তখন কিছুটা ভালো অনুভব করলেও হালকা বুকে ব্যথা ছিল। তখন তামিম নিজেই রাজধানীর একটি হাসপাতালে তাকে নেয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।
হাসপাতাল থেকে তখন তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হেলিকপ্টারের কাছে। সেটা হাসপাতাল থেকে দুই-তিন মিনিটের দূরত্বে ছিল। এরইমধ্যে আবারও প্রচণ্ড বুকে ব্যথা শুরু হয় তার। আবারও হার্ট অ্যাটাক হয়েছে তামিমের, তা অনুমান করেন সঙ্গে থাকা নার্স এবং অ্যাম্বুলেন্স চালক রব্বানী। কোনো সময় নষ্ট না করে তিনি গাড়ি ঘুড়িয়ে আবার হাসপাতালে চলে আসেন।
রব্বানী জানান, তিনি ফিরতে ফিরতে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ফোন করেন। জানান, তিনি আবারও তামিমকে নিয়ে হাসপাতালে আসছেন। যেন সব রেডি করে রাখা হয়। যেহেতু খুব স্বল্প দূরত্বে ছিলেন তারা, তাই দ্রুতই আবারও তামিমকে হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিৎসা শুরু হয়।
রব্বানী এমন অনেক গুরুতর রোগী আনা-নেয়া করেন। সে অভিজ্ঞতা তিনি বলেন, শুরুতে আকাশপথে ঢাকায় নেয়ার সিদ্ধান্তেই অটল থাকলে তামিম ইকবালের খারাপ কিছু হতে পারতো। কারণ হেলিকপ্টারে তোলা থেকে শুরু করে ঢাকায় হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু পর্যন্ত বেশ সময় প্রয়োজন। তা লেগে গেলে আরও পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে পারতো।