রাজধানীর গুলশানে সুমন (৩৩) নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাত ৯টার দিকে পুলিশ প্লাজার পাশে শুটিং ক্লাবের সামনে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
পরিবারের অভিযোগ, ব্যবসায়িক বিরোধের জেরে সুমনকে হত্যা করা হয়েছে।
তারা জানায়, মহাখালী এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন সুমন। তবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের হুমকির মুখে ব্যবসা ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।
সুমনের স্ত্রীর বড় ভাই মো. বাদশা মিয়া অভিযোগ করে বলেন, মহাখালী টিবি গেট এলাকায় ‘প্রিয়জন’ নামে একটি ইন্টারনেট ব্যবসা রয়েছে। সুমনের ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ছিল একে-৪৭ গ্রুপের রুবেল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে, সে ডিস ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। সে কয়েকবার হত্যার হুমকিও দিয়েছিল সুমনকে।
নিহতের স্ত্রী মৌসুমী বলেন, সুমন ইন্টারনেটের ব্যবসা করত। মহাখালী এলাকায় সংযোগ দিতো। বিরোধী পক্ষ নানা হয়রানি করে তাকে ব্যবসা ছাড়তে বাধ্য করেছে। সব লাইন কেটে দিয়েছে তারা।
তিনি আরও বলেন, আমরা আগে মহাখালী টিবি হাসপাতালের কোয়ার্টারে থাকতাম। পরে পাশেই একটি বাসায় উঠি।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মারুফ আহমেদ জানান, সুমন পুলিশ প্লাজার উত্তর পাশের রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় কয়েকজনের সঙ্গে তার ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর পথচারীরা তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেকের মর্গে রাখা হয়েছে।
গুলশান বিভাগের পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, হত্যাকাণ্ডের সময় দুর্বৃত্তের পরনে সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট ছিল। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।