রংপুরের মিঠাপুকুরের রথিয়া গ্রামে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ফুল সংগ্রহ করতে যাওয়া চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় ১৯ দিনেও অভিযুক্ত সার্ভেয়ার রুহুল আমীনকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। অভিযুক্ত প্রভাবশালী হওয়ায় অসহায় হয়ে পড়েছেন নির্যাতনের শিকার ওই পরিবারটি। নিরাপত্তাহীনতায় থাকার কথা বলছেন শিশুটির মা-বাবা।
অভিযোগ উঠেছে, অভিযুক্তর ছেলে পররাষ্ট্র ক্যাডার।
এই প্রভাব খাটিয়ে নির্যাতনের শিকার পরিবারটিকে নানাভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।
জানা গেছে, ২১ ফেব্রুয়ারি দিন শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে রথিয়া গ্রামের সার্ভেয়ার রুহুল আমীনের বাড়িতে ফুল তুলতে যায় ভুক্তভোগী শিশুটি। শিশুটি যখন তাদের বাড়ির ফুলবাগান থেকে ফুল সংগ্রহ করছিল তখন তাকে জোর করে ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় শিশুটির চিৎকারে ফজরের নামাজ পড়ে বাড়িতে যাওয়া কয়েকজন মুসল্লি ওই বাড়িতে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে তার বাসায় নিয়ে আসেন।
এ সময় অভিযুক্ত পালিয়ে যান। শিশুটিকে বাসায় আনার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রথমে মিঠাপুকুর থানায় এবং দুপুরে তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে নিয়ে যায়।
ঘটনার পর থেকে মিঠাপুকুর ও রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ক্ষোভে বিক্ষোভ করেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। প্রায় প্রতিদিনই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।
নির্যাতনের শিকার ও শিশুর মা-বাবা জানান, তারা নিরাপত্তাহীনতায় আছেন। রুহুল আমীনের ছেলে পররাষ্ট্র ক্যাডার। মামলা তুলতে তাদের ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
অভিযুক্তের পরিবার থেকেও বলা হচ্ছে, রুহুল আমীন নির্দোষ। একটি নোংরা অভিযোগ দিয়ে হয়রারি করা হচ্ছে। আনা হয়েছে মিথ্যা অভিযোগও।
মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর ছিদ্দিক জানান, আইনগত সব প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। অভিযুক্ত ধর্ষককে গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।