‘জিন্সেস করলাম ‘লামিয়া তোমার মন খারাপ। নাকি অন্য কোন সমস্যা।
‘নাহ কোন সমস্যা নেই।
তুমি এখানে রেষ্ট নাও আমি তোমার জন্যে ঠান্ডা পানি নিয়ে আসতেছি।
‘ঠিক আছে।
‘এর পরে লামিয়া পানি নিয়ে আসার সময় দেখতে পেলাম খুরিয়ে-খুরিয়ে হাটতেছে।
‘আবার বললাম’ তোমার পায়ে কী হয়ছে।
‘আর কিচ্ছু না।
পায়ে একটু ব্যথা পেয়েছিলাম তাই এমন হয়েছে।
‘তাই।
‘হ্যাঁ।
‘শোন আমার শরীরটা বতর্মান অনেক ক্লান্ত আমি একটু ঘুমাই। এছাড়া বিকাল বেলায় দুজনে ঘুরতে যাবো কিন্তু।
‘ঠিক আছে।
‘এর পরে হাসিব ৪/৫ঘন্টা ঘুমানোর পরে লামিয়াকে বলে লামিয়া চলো ঘুরতে যবো।
‘চলো।
‘আরে পাগলি এমনি যাবে। তোমার পছন্দের নীল শারিটা পরো। কপালে কালো একটি টিপ দাও। হাতে পায়ে স্বর্ণের জিনিস পরো।
‘হাহহাহা। হাহাহ।
আমি এই সব কোথায় পাবো বলো। আমার তো শুধুমাত্র
একটি শাড়ি একটি জামা।
‘মজা করো আমার সঙ্গে।
‘তোমার সঙ্গে মজা করবো কেনো। যা সত্যি তাই বলেছি।
‘আমিতো ৫/৬মাস পর পর তোমাকে তোমার পছন্দের
শাড়ি কেনার জন্য মায়ের কাছে টাকা পাঠাই। প্রতিমাসে তোমাকে ২হাজার টাকা করে দেই। এছাড়া তোমার স্বর্ণের জিনিস তৈরি করার জন্যে কিছুদিন আগে এক লক্ষ টাকা পাঠাইছি।
‘ভালো।
‘ভালো মানে কি হ্যা।
তোমাকে যখন বলতাম তখন তো বললতে সব আছে।
‘আমি তোমার দেয়া কিচ্ছু আমি পাইনি।
তুমি যাকে দিয়েছো তাকে জিঙ্গেস করতে পারো।
‘কথাটি শোনা মাত্রই হাসিব ও মাকে ডাক দিলো। মুহূর্তেই ওর মা রুমে আসলো।
‘কী হয়েছে বাবা।
‘লামিয়ার শারি কোই। ওর স্বর্ণের জিনিস কোই।
‘মা নিশ্চুপ।
‘কি হলো মা আমার কথার উত্তর দাও।
‘তোমার মা কী উত্তর দিবে। এর থেকে আমি সব
কিছু খুলে বলি! শোন তুমি বিদেশ যাওয়ার পরে তোমার মা এবং তোমার বোন আমাকে অনেক নির্যাতন করেছে যা
বলার মতো না।
সারা বাড়ির কাজ আমাকে দিয়ে করায়। কাজে একটু ভুল
হলে আমাকে থাপ্পড় মারতো। তুমি যেই টাকা আমাকে
পাঠাইতে সেটা তোমার বোন নিতো।
স্বর্ণ কেনার টাকা দিয়ে তোমার বোন। phone কিনেছে।
জানতে চাইলেনা আমার পায়ে কি হয়েছে।
তোমার মা কিছুদিন আগে একটা ইট আমার পায়ে ছুরে মেরেছিলো। তখন থেকে আমি এভাবেই চলে-ফেরা করি। তুমি বলতেনা আমি কেনো তোমার সঙ্গে তেমন কথা বলিনা। আসলে তোমার মা বোন আমাকে কথা বলতেই
দিতো না।
‘এই সব কি সত্যি মা।
‘মা নিশ্চুপ?
‘আমার অন উপস্থিতে তোমরা আমার বউয়ের সঙ্গে
এমন করছো
আমার বউকে কাজের মেয়ের মতো রাখছো ছিইইই,,, মা ছিইইই।
‘বাবা আমাকে ক্ষমা করে দে।
‘চুপ করো তুমি।
ভাবতেই পারেনি তুমি এতোটা নিছে নামতে পারবে।
‘ভাইয়া আমাদের ক্ষমা করে দে।
‘কথাটি শোনা মাত্রই হাসিব ওর বোনকে কশে একটি
থাপ্পড় মারে।
‘ঠাসসসস। ঠাসসসস। এই রুমের ভিতর থেকে বেরিয়ে যাও তোমরা। তোমাদের সঙ্গে আমি কথা বলতে
চাচ্ছি না বতর্মান।
‘মুহূর্তেই দুজনে বেরিয়ে যায়।
‘লামিয়া আমাকে ক্ষমা করে দিও।
আমি সত্যি এই সব কিছু জানতাম না।
‘আরে ক্ষমা চাইতে হবেনা।
শুধুমাত্র আমাকে কথা দাও তুমি আর কখনো বিদেশ
যাবে না।
‘কথা দিচ্ছি কখনো বিদেশ যাবোনা। বাকিটা জীবন তোমার সঙ্গেই থাকবো আমি।
‘তাহলে ঠিক আছে।
‘চলো মার্কেট যাবো।
তোমার যা যা লাগবে সব কিনে দিবো।
‘সত্যিইইই।
‘হ্যাঁ সত্যিইইইইইই।
‘আসলেই যাদের স্বামী বিদেশ থাকে তারাই বুজে
বাস্তবতা কি।
সমাপ্ত………….. এরই নাম প্রবাস