Breaking News

সাইফ আলী খানের ওপর হামলার চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলো পুলিশ

গভীর রাতে নিজ বাড়িতে ছুরিকাঘাতের শিকার হন বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খান। এ হামলার তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে মুম্বাই পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে মুম্বাই পুলিশের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলাকারীর টার্গেটে ছিল সাইফের শিশুসন্তান। ছোট ছেলে জেহকে টার্গেট করে ১ কোটি রুপি নেয়ার পরিকল্পনা ছিল হামলাকারীর।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাত ২টা নাগাদ তাই বাড়ির বাইরের একটি পাইপ বেয়ে ফ্ল্যাটে ঢোকে হামলাকারী। ওই রুমে ঘুমিয়ে ছিল সাইফ-কারিনার দুই সন্তান তৈমুর ও জেহ (জাহাঙ্গীর)।

গভীর রাতে তৈমুর ও জেহরের রুমে আওয়াজ হওয়ায় জেগে যান তাদের পরিচারিকা ইলিয়ামা ফিলিপ আলিয়াস লিমা।

লিমা বলেন, হামলার তিন ঘণ্টা আগে জেহ ঘুমিয়ে পড়ে। সবশেষ আমি যখন জেহর ঘর বাইরে থেকে দেখি, তখন বাথরুমের দরজা খোলা ও আলো জ্বালানো ছিল।

লিমা আরও বলেন, বাথরুমের দরজা খোলা ও আলো জ্বালানো দেখে আমি প্রথমে ভাবি হয়তো কারিনা কাপুর খান ছোট ছেলেকে দেখতে এসেছেন যে জেহ ঠিকমতো ঘুমাচ্ছে কি না। তাই আমি পাশের রুমেই ঘুমাতে যাই। কিন্তু ঘরে যেতেই আওয়াজ শুনে আমার মনে সন্দেহ হয়। তাই আমি দ্রুত জেহর ঘরে আসি এবং দেখি, একজন লোক বাথরুম থেকে বের হয়ে জেহর ঘরে ঢুকছে।

লিমা জানান, হামলাকারীর মুখোমুখি হলে হাতের আঙুলে ইশারা করে চিৎকার না করতে বলেন তিনি। চার বছর ধরে শিশু জেহকে দেখাশোনার দায়িত্বে থাকায় লিমা দ্রুত চিৎকার করে পরিবারের সব সদস্যকে জাগিয়ে তোলেন। এতে হামলাকারী প্রথমে লিমাকেই ছুরি দিয়ে আঘাত করেন।

ডান হাতের কবজিতে আহত হওয়ায় লিমার চিৎকার শুনে পাশের রুম থেকে বেরিয়ে আসেন সাইফ। সঠিক সময়ে দুই সন্তান ও পরিচারিকাকে বাঁচাতে সিনেমার নায়কের মতোই সাইফ ঝাঁপিয়ে পড়েন হামলাকারীর ওপর। এতে হামলাকারী ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছয়বার কোপান অভিনেতাকে।

রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটার সময় অভিনেতার পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে খবর দেন। দুর্বৃত্তকে ধরার চেষ্টাও করেন। কিন্তু তিনি পালিয়ে যান।

হামলার শিকার সাইফকে দ্রুত ভর্তি করা হয় লীলাবতী হাসপাতালে। সেখানে সফল অস্ত্রোপচারের পর শঙ্কামুক্ত সাইফ এ মুহূর্তে আইসিইউতে রয়েছেন। আগামীকাল শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে অভিনেতার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন চিকিৎসকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *