তামিমের মেজাজ হারানো নিয়ে যা বললেন বরিশালের কোচ

সমীকরণটা সহজ ছিল না রংপুর রাইডার্সের। শেষ ৬ বলে ২৬ রানের সমীকরণটা বেশ কঠিনই ছিল। সেই হিসেবে হয়তো জয়ের প্রহরই গুনছিল ফরচুন বরিশাল। তবে তাদের সেই আশা ধূলিসাৎ করে দিয়েছেন নুরুল হাসান সোহান।

কাইল মায়ার্সের করা শেষ ওভারে ৩ ছক্কা আর ৩ চারে বরিশালের মুখ থেকেই যেন জয়টা ছিনিয়ে নেন সোহান। ৪৫৭.১৪ স্ট্রাইক রেটে ৩২ রানের অপরাজিত টর্নেডো ইনিংস খেলেন রংপুরের অধিনায়ক। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে জয় এনে দেওয়া ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৩ চার ও ৩ ছক্কায়।

সোহানের বীরত্বে তাই প্রতিপক্ষকে ১৯৮ রানের বড় লক্ষ্য দিয়েও জয় পাওয়া হয়নি বরিশালের।

ম্যাচ হেরে স্বাভাবিকভাবেই হতাশ ছিলেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। কিন্তু ম্যাচ শেষে দুই দলের আনুষ্ঠানিকতা বিনিময় শেষে যখন মাঠ ছাড়ছিলেন বাংলাদেশি ওপেনার তখনই রংপুরের একজন ক্রিকেটারের দিকে তেড়ে যেতে দেখা যায় তাকে। রংপুরের সেই ক্রিকেটার হচ্ছেন ইংল্যান্ডের ব্যাটার অ্যালেক্স হেলস।
সৌহার্দ্য বিনিময়ের সময় তামিমকে কিছু একটা বলেছিলেন হেলস।

তাতে রাগান্বিত হয়ে ইংল্যান্ডের ব্যাটারে দিকে তেড়ে যেতে চাইলে তামিমকে আটকান রংপুরের অধিনায়ক সোহান। তামিমের এমন উত্তেজিত হওয়া নিয়ে পরে দলের ব্যাটিং কোচ নাফিস ইকবাল খানের কাছে জানতে যাওয়া হয়েছিল। তবে নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি ব্যাটিং কোচ।

সংবাদ সম্মেলনে নাফিস ইকবাল বলেছেন, ‘খেলার পর আমিও নিশ্চিত না যেহেতু আলাপ হয়নি। উত্তেজিত হওয়াটা দেখেছি।

ম্যাচে যেমন হয় হারার পর বিশেষ করে এই ধরনের ম্যাচে ইমোশনটা অনেক ক্যারি করে। আশা করি তেমন সিরিয়াস কিছু না। নিশ্চয়ই কিছু একটা বলা হইসে যেটার রিয়েকশন ছিল। আমার মনে হয় সিরিয়াস কিছু না।’

রোমাঞ্চকর ম্যাচে আরেকট ঘটনা ঘটেছে। সচরাচর যা খুব একটা দেখা যায় না। রংপুরের ব্যাটিং ইনিংসের ১৯তম ওভারে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউট। বরিশালের পেসার জাহানদাদ খানের বলে শেখ মেহেদী হাসান ক্যাচ তুললে তা ধরতে বাধা দেন সোহান। পরে থার্ড আম্পায়ারের সহায়তায় মেহেদীকে আউট দেন মাঠের আম্পায়ার।

এতে অনেকে মনে করছেন সোহান বাধা দেওয়ায় তারই আউট হওয়ার কথা। তবে এমসিসির নিয়ম অনুযায়ী আম্পায়াররা সঠিক ব্যাটারকে আউট দিয়েছেন। ৩৭.৩ ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি ডেলিভারি ‘‘নো’’ না হয়ে থাকে, তাহলে যে ব্যাটসম্যানই ক্যাচে বাধা দিক না কেন, আউট হবেন স্ট্রাইকে থাকা ব্যাটসম্যান।’ সেই প্রসঙ্গে নাফিস ইকবাল বলেছেন, ‘আম্পায়ারের কথা অনুযায়ী যে হিট করে সে আউট হয়। তবে আমরা জানি ক্যাচ বা ক্যাচের সামনে আসে তখন এই ব্যাপারটা। এটা নিয়ে কনফিউশন ছিল, আলাপ আলোচনা চলছে। তবে আম্পায়ারের কথা অনুযায়ী, যে ব্যাটে হিট করে যার ক্যাচ অ্যাপ্রোচ করার জন্য যায় সে আউট হয়। যেহেতু আম্পায়ার এটা বলেছে আমরা এটাই মেনে নিয়েছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *