Breaking News

আগামীকাল শহীদ মিনারে আড়াই লাখ মানুষকে জমায়েতের পরিকল্পনা

বছরের শেষ দিন মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তাদের ভাষ্য, এই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে ৭২-এর সংবিধান এবং আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারী রাজনীতি ‘কবর’ দেওয়া হবে।

জুলাই বিপ্লবের ‘ঘোষণাপত্র’ ঘোষণার কর্মসূচি ঘিরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আগামীকাল অন্তত দেড় থেকে আড়াই লাখ মানুষ জমায়েতের পরিকল্পনা করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ এ তথ্য জানিয়েছেন।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে ডিএমপি হেডকোয়ার্টারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানান মাসুদ।

তিনি বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ ঘিরে অন্তত ৫০০ জন পুলিশ সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। আগামীকাল মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) থেকে নতুন স্বপ্ন দেখবে বাংলাদেশ। আগামীর বাংলাদেশে যে সরকারই আসবে, এই ঘোষণাপত্র সীমারেখা হয়ে কাজ করবে।
এর মধ্য দিয়ে বস্তাপচা রাজনীতির অবসান হবে।

নতুন বছর উদযাপন ও জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের অনুষ্ঠান ঘিরে যেকোনো বিশৃঙ্খলা এড়াতে প্রশাসনের পাশাপাশি সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।

গতকাল রবিবার সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানিয়েছেন, তারা আগামীকাল বিকেলে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ দেবে। সংগঠনের নেতারা ঘোষণাপত্রে দুটি মৌলিক বিষয়ের উল্লেখ করেছেন।

তাতে ১৯৭২ সালের সংবিধানকে ‘মুজিববাদী সংবিধান’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এর ‘কবর’ রচনা করা এবং ‘নাৎসিবাদী আওয়ামী লীগকে’ বাংলাদেশে অপ্রাসঙ্গিক ঘোষণা করার কথা থাকবে।
তবে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে গতকাল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব মো. শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, ‘আমরা এটিকে প্রাইভেট ইনিশিয়েটিভ (বেসরকারি উদ্যোগ) হিসেবেই দেখছি। সরকারের সঙ্গে এর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। যারা এটিকে সাপোর্ট করছেন, একটা প্রাইভেট ইনিশিয়েটিভকে সাপোর্ট করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *