ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় বাসের চালকসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক চালকের নাম মোহাম্মদ নুরুদ্দিন। তাৎক্ষণিকভাবে আটক অপর ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়নি।
আজ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি মহাপরিদর্শক একেএম আখতারুজ্জামান বসুনিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে দুর্ঘটনার পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে কি না, তা তদন্ত শেষে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
র্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) তাপস কর্মকার জানান, গত দুই বছর ধরে ওই চালকের বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। গত ১০ বছর ধরে তিনি বাস, ট্রাক ও পিক-আপ ভ্যান চালিয়ে আসছিলেন। দুর্ঘটনায় জড়িত বাসটির ফিটনেস সার্টিফিকেটও নেই বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, অভিযান চালিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে একজনকে আটক করা হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশ কাউকে আটক করেছে কি না, সেটি এখনও জানতে পারিনি।
গ্রেপ্তার বাসচালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, চালকের দাবি তিনি সে সময় মদ্যপক অবস্থায় ছিলেন না। এমনকি তিনি ওই সময় ধূমপানও করছিলেন না। চালক জানিয়েছেন যে তিনি গাড়ি থামানোর চেষ্টা করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু ওই সময় গাড়ির ব্রেক কাজ করছিল না। তবে অতীতে বাসচালক নেশা ও মাদক গ্রহণ করতেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।
গতকাল (২৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে টোল পরিশোধের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস এবং প্রাইভেটকারকে পেছন থেকে ঢাকা-কুয়াকাটা রুটের বেপারী পরিবহনের একটি বাস চাপা দেয়।
এতে সামনের গাড়িগুলো দুমড়ে-মুচড়ে যায়। দুর্ঘটনায় একই পরিবারের চারজনসহ মোট ছয়জনের মৃত্যু হয়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করতে পারেননি কেন বাসচালক টোল প্লাজায় পৌঁছানোর সময় গতি কমাননি বা ব্রেক করেননি।