সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ভিডিও। যেখানে জুম মিটিংয়ে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন এবং অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট অমি রহমান পিয়ালকে।
মূলত অমি রহমান পিয়ালের বক্তব্যের ৪২ সেকেন্ডকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।
যেখানে তাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘আমাদের জয় বাংলার এক্সটেনশন হতে হবে ওই রকম, দালালদের হত্যা করা।
যে লোকগুলো টেক ব্যাক বাংলাদেশ বলে ইস্ট পাকিস্তান বা ৫৪ বছর আগে নিয়ে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। দ্যাট ইজ, খুঁজে খুঁজে; প্রতিটা গ্রাম-মহল্লায় তাদের হত্যায় একটা মিশন হওয়া উচিত। দ্যাট মিনস মেক আ মুক্তিযোদ্ধা। এই মুক্তিযুদ্ধের প্রথম কলেমা হচ্ছে জয় বাংলা।
’
ভিডিওটির সত্যতার বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি কালের কণ্ঠ। তবে ফেসবুকে ভিডিওটি শেয়ার করে প্রতিবাদ জানাতে দেখা গেছে অনেককে।
ফারজানা মাহাবুব লিখেছে, ‘ফাসিস্ট আওয়ামী লীগের পা চাটা দালাল অমি পিয়াল প্রকাশ্যে অ্যাক্টিভিস্টসদের খুঁজে খুঁজে খুন করার মিশনের কথা বলছে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সো ফার ৩ জন অ্যাক্টিভিস্ট স্টুডেন্টসকে খুন করা হয়েছে।
অমি পিয়াল, নিঝুম মজুমদার, আরিফ জেবতিক গং-রা যা বলছে, তারা তা করছে। খুঁজে খুঁজে একটা একটা করে জুলাই অ্যাক্টিভিস্টসদের খুন করছে। জুলাই অ্যাক্টিভিস্টরা জিন্দা শহীদ, তারা খুন হওয়াকে ভয় পায় না, কিন্তু তাই বলে তারা বানে ভেসে আসা শেওলা না যে যার ইচ্ছা সে তুলে তাদের ফেলে দিবে। জুলাই অ্যাক্টিভিস্টসরা ছিল, আছে বলেই বাংলাদেশ আছে। বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে প্রত্যেক জুলাই অ্যাক্টিভিস্টকে বাঁচাতে হবে।
’
হুসাইন রিয়াদ লিখেছেন, ‘জয় বাংলা বলে সিরিয়াল কিলিংয়ের ঘোষণা দিয়েছে অমি পিয়াল। সারা দেশে এখন পর্যন্ত নিহত ৪ জন। গত ১৬ বছরে হওয়া সব হত্যাকাণ্ডের বিচারের পাশাপাশি অতি দ্রুত জঙ্গি লীগের রাজনীতি এই দেশে চিরতরে নিষিদ্ধ করতে হবে।’
মেসবাহুল বরাত লিখেছেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যে তিন ছাত্রকে কুপিয়ে মারলো তাদের হত্যার দ্বায় স্বীকার করে নিচ্ছে অমি পিয়াল, সাদ্দাম হোসেনরা। শুধু তা-ই নয়, প্রকাশ্যে ঘোষণা দিচ্ছে গ্রামেগঞ্জে খুঁজে খুঁজে জুলাই বিপ্লবে অংশগ্রহণকারীদের হত্যা করবে! ইন্টেরিম গভমেন্ট, বিএনপি, জামায়াত এদের সবার চিন্তায় আওয়ামী লীগের চিহ্নিত খুনিদের ব্যাপারে উদারতা দেখে দিন দিন বিরক্ত হয়ে যাচ্ছি।’
আহমেদ জুনায়েদ লিখেছেন, ‘অমি পিয়াল লিটরেলি গুপ্ত যুদ্ধের ঘোষণা দিলো। জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে পাড়া-মহল্লায় লিস্ট করে বিপ্লবীদের হত্যা করতে বলল। চট্টগ্রামের ক্যাডার নূরুল আজিম রনি হত্যার দায় স্বীকার করে পোস্ট দিয়েছে গেরিলা শব্দের সাথে নাকি বিপ্লবীরা পরিচিত না। আমরা যখন গুপ্ত হামলা, গুপ্ত হত্যার জন্য পতিত লীগকে দায়ী করে সরকার ও প্রশাসনকে শক্ত ভূমিকা নিতে বললাম, সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভালোই ব্যাশিং করল। বলল সব কিছুতে লীগের ওপর দায় দিয়ে নাকি পার পাইতে চাচ্ছি। অথচ ২০০৬ থেকে লীগ চেনার কারণে বুঝি এদের একটা কুত্তার কাছেও আমরা নিরাপদ না। এরা নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে হিন্দু, বৌদ্ধ, শিবির, ছাত্রদল সব সাজবে। দুই দিন পর নারায়ে তাকবির বা জিয়ার সৈনিক স্লোগান দিয়ে কোনো বিপ্লবী হত্যা হইতে দেখলেও অবাক হবো না। আরও করুন লীগের পুনর্বাসন, তাদের কোলে নিয়ে চুমু দিন।’