Breaking News

জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষ ৯ পদের ৮ জনই ঢাবি শিক্ষার্থী!

ঐতিহাসিক ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া সমন্বয়ক ও শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে আসছে নতুন রাজনৈতিক দল। ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ নামে ওই দলটির আত্মপ্রকাশ হবে শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি)। এদিন বিকাল ৩টায় জাতীয় সংসদের সামনে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে তারুণ্যনির্ভর রাজনৈতিক দলটি।

জানা গেছে, দলের শীর্ষ নয়টি পদের মধ্যে আটটি পদের নেতৃত্ব বাছাই অনেকটাই সম্পন্ন হয়েছে। আটটি পদের জন্য চূড়ান্ত নেতারা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এবং বর্তমান শিক্ষার্থী।

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক হচ্ছেন নাহিদ ইসলাম। নাহিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক ছাত্র। সদস্য সচিব আখতার হোসেন ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক।

জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী। প্রধান সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগ থেকে পড়াশোনা সম্পন্ন করেছেন। যুগ্ম সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটের অধীনে ইংরেজি ভাষা শিক্ষা বিভাগে পড়ছেন। মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ইংরেজি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী এবং মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম প্রাণিবিদ্যা বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ছিলেন। দপ্তর সম্পাদক সালেহ উদ্দিন সিফাত ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের ছাত্র।

অনেকে বলছেন, শেখ হাসিনা সরকার পতন আন্দোলনে শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, তা নয়। দেশের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ছিল গুরুত্বপূর্ণ অবদান। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরা যেমন ভূমিকা রেখেছেন, তেমনই অগ্রণী ভূমিকা ছিল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের।

শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলে তিনজন শিক্ষার্থীকে উপদেষ্টা করা হয়। ওই তিনজন উপদেষ্টাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। তখন অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে উপদেষ্টা না করায় সমালোচিত হয়েছিল। এবার ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া সমন্বয়ক ও শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে আসছে যে রাজনৈতিক দল, সেখানেও শীর্ষ পদে দেখা যাচ্ছে ঢাবি শিক্ষার্থীদের আধিক্য।

এদিকে, বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সাবেক সমন্বয়ক ও শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে গঠিত হয় নতুন ছাত্রসংগঠন। ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ’ নামের ওই ছাত্রসংগঠনের শীর্ষ পদেও দেখা যায় ঢাবি শিক্ষার্থীদের আধিক্য। যার ফলে সংগঠনটি যেদিন আত্মপ্রকাশ হয়, সেদিনই অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এটার প্রতিবাদ করেন। সেদিন নেতৃত্ব ইস্যুতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈষম্যের অভিযোগ এনে ঢাবি শিক্ষার্থী ও তাদের মধ্যে মারামারি ও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *