দীর্ঘ ৩৫ বছর পর প্রকাশ্যে এসেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির। গতকাল মঙ্গলবার সংগঠনটির প্রচার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন সাকির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির সভাপতি ও সেক্রেটারির নাম জানানো হয়।
এতে দেখা যায়, জাবি শাখার সভাপতি হারুনুর রশিদ রাফি এবং সেক্রেটারি মহিবুর রহমান মুহিব। হারুনুর রশিদ রাফি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের (২০১৬-১৭ সেশন) শিক্ষার্থী।
মহিবুর রহমান মুহিব বাংলা বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের (২০১৭-১৮ সেশন) শিক্ষার্থী।
সংগঠনটি প্রকাশ্য আসায় গতকাল রাতেই বিক্ষোভ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্রসংগঠন। তাদের দাবি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৮৯ সাল থেকে ছাত্রশিবিরের ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪২তম সিন্ডিকেট সভায় ছাত্রশিবির নিষিদ্ধ করা হয় বলে দাবি করেছেন তারা।
তবে ক্যাম্পাসে ছাত্রশিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়নি দাবি করেছেন সংগঠনটির নেতারা। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দীর্ঘদিন ধরে কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী ছাত্রশিবিরকে আদর্শিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে নিষিদ্ধের একটি বয়ান তৈরি করে এসেছে। আদতে এই বয়ানের কোনো সত্যতা নেই। ১৯৮৯ সালের ১৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ১৪২তম সভায় শিবির নিষিদ্ধের প্রস্তাবনা এলেও এ রকম কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি।
বরং সভার সিদ্ধান্ত ছিল ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাবহির্ভূত বিধায় এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভব নয়’ উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, ২২টি ছাত্রসংগঠন শিবিরিকে নিষিদ্ধ করার জন্য দাবি জানিয়েছিল। ছাত্রছাত্রীদের দাবির প্রেক্ষিতে সিন্ডিকেটের ওই বৈঠকে এটি নিয়ে আলোচনাও হয়েছিল। তবে বিষয়টি ’বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাবহির্ভূত বিধায়’ এই বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভব নয় বলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, এই ভূখণ্ডে বিভিন্ন নাম থেকে ‘ইসলাম’ ও ‘মুসলিম’ শব্দ মুছে দেওয়ার অন্যতম ভিকটিম- ‘জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’।
আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ মন্তব্য করেন শিবির সেক্রেটারি।